Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪

সাম্প্রতিক বছরসমূহ (৩ বছর) প্রধান অর্জনসমূহ

বিগত ২০১৯-২০ অর্থবছর হতে ২০২১-২২ অর্থবছরে বিটাকে নিয়মিত, বাস্তব, হাতে কলমে কারিগরি প্রশিক্ষণে মহিলাদের গুরুত্ব দিয়ে বিটাকের কার্যক্রম সম্প্রসারণ পূর্বক আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র বিমোচন (সেপা) শীর্ষক প্রকল্পে এবং স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইআইপি) এর আওতায় কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১২,৫৩৩ জনের দক্ষতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মধ্যে আগ্রহী ২৬৯৭ জনের বিভিন্ন শিল্প কারখানায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। গত তিন বছরে বিটাক কর্তৃক ২৫০টি শিল্প কারখানার জন্য উৎপাদনের বিপরীতে আয় প্রায় ৫২.১৮ কোটি টাকার আমদানি বিকল্প খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরি ও মেরামত করে আনুমানিক ১৪০.৮৯ কোটি টাকা সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা হয়েছে। বিটাকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে দেশে ১৫৪ জন এবং বিদেশে ৩৪ জনসহ মোট ১৮৮ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন এবং ইন-হাউজ প্রশিক্ষণ এর আওতায় বিটাকের ৮৪৪৯ জন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিটাক-ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, চাঁদপুর, বগুড়া এবং টিটিআই NSDA এর স্বীকৃতি লাভ করেছে। একই সাথে Cloud Based CNC Machining Centre Operation, Computer Aided Engineering (CAE), Additive Manufacturing, CAD & CAM, Hydraulic & Pneumatics, Mechatronics, Programable Logic Controller (PLC) বিষয়ে কম্পিটেন্সি স্ট্যান্ডার্ড প্রণয়ন পূর্বক NSDA এর অনুমোদন পেয়েছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কর্তৃক কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরি, গবেষণার দ্বারা শিল্প ক্ষেত্রে প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও হস্তান্তর, যন্ত্রাংশ তৈরি ও মেরামতপূর্বক শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধি এবং এতদ্‌সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ প্রদানের লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক) আইন’ (২০১৯ সনের ১৯ নম্বর আইন) মহান জাতীয় সংসদে পাশ হয়। ‘বিটাকের কার্যক্রম শক্তিশালী করার লক্ষ্যে টেস্টিং সুবিধাসহ টুল ইনস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্প’ (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্প ৮১৯৪.৩৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে (জানুয়ারি ২০১৬ থেকে জুন ২০২১ পর্যন্ত) আধুনিক যন্ত্রপাতি সম্বলিত ১০ তলা ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এবং ‘‘বিটাক চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়া কেন্দ্রে নারী হোস্টেল স্থাপন (২য় সংশোধিত)”-শীর্ষক প্রকল্প ৭৪৫৯.৭৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে (জুলাই ২০১৮ থেকে জুন ২০২২ পর্যন্ত) ১০ তলা বিশিষ্ট ৩টি নারী হোস্টেল ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ‘হাতে কলমে কারিগরি প্রশিক্ষণে মহিলাদের গুরুত্ব দিয়ে বিটাকের কার্যক্রম সস্প্রসারণপূর্বক আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচন’ শীর্ষক প্রকল্প (ফেজ-২) ১২৩১৭.৫৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে (অক্টোবর ২০২০ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত) বিটাক ঢাকায় ১০ তলা বিশিষ্ট ১ টি পুরুষ হোস্টেল ভবন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। জেলা পর্যায়ে বিটাকের ছয়টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ (প্রকল্প) স্থাপনের জন্য গত ২৫-০১-২০২২ তারিখে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদন দিয়েছেন। জেলা পর্যায়ে কেন্দ্রগুলো হল- গোপালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, বরিশাল, রংপুর, জামালপুর ও যশোর। উক্ত ছয়টি প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৩২ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। শুদ্ধাচার বাস্তবায়নে ২০১৯ এবং ২০২২ সালে বিটাকের মহাপরিচালক শুদ্ধাচার পুরষ্কার অর্জন করেছেন। 

গত ৩০ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে বিটাকের প্রবিধানমালা প্রণীত হয়েছে। এ ছাড়া ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে বিটাকের পেনশন সংক্রান্ত গ্যাজেট প্রকাশিত হয়।